ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া বাংলাদেশি রোগীদের কাছে ভারত
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা গন্তব্য। কারণ এখানে উন্নত চিকিৎসার সুবিধা
পাওয়া যায় স্বাস্থ্যই খরচে।
তবে ভারতের চিকিৎসার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয়
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা, যার সঠিকভাবে আবেদন না করলে অনেকেই ঝামেলায় পড়ে।
মেডিকেল ভিসার খরচ, আবেদন প্রক্রিয়া প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এবং হাসপাতালের
অ্যাপয়েন্টমেন্ট সবকিছু আগে থেকেই পরিষ্কার ধারণা থাকলে ভিসা পাওয়া অনেক সহজ
হয়। তাই আজকের এই গাইডে আমরা বিস্তারিত দেখব ইন্ডিয়ান মেডিকেল হিসাব বলতে কি কি
লাগে, কত খরচ হয় এবং আবেদন করার সঠিক নিয়ম। সঠিক প্রস্তুতি নিলেই আপনি খুব
দ্রুত এবং ঝামেলা ছাড়াই ভারতে উন্নত চিকিৎসার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
সূচিপত্রঃইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া
- ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া
- ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ আপডেট
- ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পূরণ করার নিয়ম
- মেডিকেল ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
- মেডিকেলের অ্যাপয়েন্টমেন্ট আনার নিয়ম
- মেডিকেল ভিসার মেয়াদকাল কত
- চিকিৎসার সম্পর্কে ভারতীয় দ্রুতবাসের চিঠি
- ভিসার জন্য অনলাইন আবেদন
- রোগীদের জন্য ইন্ডিয়ান ডাক্তারি সুপারিশ
- বাংলাদেশ থেকে ভারতের দূরত্ব
- উপসংহার
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ গাইড, বাংলাদেশীদের
জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশী
দেশ ভারতে যাচ্ছেন। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, সাশ্রয়ী খরচ, অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং
বিশ্বমানের হাসপাতালের কারণে ভারত এ অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় মেডিকেল গন্তব্য।
কিন্তু চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে হলে প্রয়োজন হয় ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা।
এই মেডিকেল ভিসা পেতে কি করতে হয় কত খরচ লাগে, কোন কোন কাগজপত্র লাগে এসব বিষয়ে
অনেকেই স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে ঝামেলায় পড়ে যান। আজকে এ বিস্তারিত
আর্টিকেলে আপনি ধাপে ধাপে জানতে পারবেনঃ
- ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ
- থেকে শুরু করে আবেদন ফরম পূরণ
- প্রয়োজনের ডকুমেন্ট
- হাসপাতালে অ্যাপয়েন্টমেন্ট আনা
- ভিসার মেয়াদ কাল
- দ্রুতবাসের চিঠি
- ডাক্তারি সুপারিশ
- বাংলাদেশ ভারতের দূরত্ব, এবং ভ্রমণ বিষয়ক সব তথ্য।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ আপডেট
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা হলে এমন একটি বিশেষ ভিসা যা শুধুমাত্র চিকিৎসার উদ্দেশ্যে
ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেয়। মূলত বাংলাদেশের কোন নাগরিক যখন ভারতের হাসপাতাল,
ক্লিনিক বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিতে চান, তখন এই ভিসাটি
প্রয়োজন হয়।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া আপডেট বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য
মেডিকেল ভিসা সাধারণত ফ্রি থাকে। ভারত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশীদের থেকে
মেডিকেল ভিসার জন্য আলাদা কোন ভিসা ফি নেওয়া হয় না। তবে কিছু অতিরিক্ত খরচ
থাকতে পারে, যেমনঃ
- ভিসা প্রসেসিং সার্ভিস চার্জঃ৬০০-৭০০ টাকা VFS সেন্টারে গেলে
- ফটোকপি ও ছবি তোলাঃ৫০-১৫০ টাকা
- পাসপোর্ট ডেলিভারি চার্জঃ২০০-৩০০ টাকা যদি কুরিয়ার নেন
- মেডিকেল ডকুমেন্ট প্রস্তুতি খরচঃ বিভিন্ন হাসপাতালে ভিন্ন ভিন্ন
মোটামুটি ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
আবেদন প্রক্রিয়া সংক্ষেপেঃ
- অনলাইনে ভিসা ফর্ম পূরণ
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ
- হাসপাতাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বা আমন্ত্রণপত্র
- অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং
- বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করা
- ভিসা রিসিভ
এই ধাপগুলো নিচে আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পূরন করার নিয়ম
মেডিকেল ভিসার আবেদন সম্পন্নভাবে অনলাইনে করতে হয়।ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ
এবং আবেদন প্রক্রিয়া অনেকেই ভিসা ফর সঠিকভাবে পূরণ না করার কারণে আবেদন বাতিল
হয়ে যায়। তাই নিচে সহজ ভাবে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দেওয়া হল।
ভিসা ফরম পূরণ করার ধাপঃ
অনলাইন ফর্মে প্রবেশ করুন, ভারতের অনলাইন ভিসা আবেদন সাইটে গিয়ে মেডিকেল ভিসা
নির্বাচন করুন।
ব্যক্তিগত তথ্যপূরণ সম্পূর্ণ নাম পাসপোর্ট অনুযায়ীঃ
- জন্মতারিখ
- জাতীয়তা
- ঠিকানা
- ফোন নম্বর
- ইমেইল
সব তথ্য ১০০% পাসপোর্ট অনুযায়ী দিতে হবে।
পাসপোর্টের তথ্যঃ
- পাসপোর্ট নম্বর
- ইস্যু তারিখ
- মেয়াদ
- ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ
ভুল হলে সরাসরি আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পূর্বের ভ্রমণ তথ্যঃ
যদি আগে ভারত জান, তার তথ্য দিতে হয়। আর না গেলে NO দিন।
চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যঃ
- রোগের বিস্তারিত বর্ণনা
- যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন তার নাম
- হাসপাতালের ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন
- হাসপাতালের আমন্ত্রণপত্র লেটার অফ অ্যাপয়েন্টমেন্ট
সর্বশেষ ছবি আপলোডঃ
৩৫-৪৫mm পাসপোর্ট সাইজ সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি আপলোড করুন।
সব তথ্য যাচাই করে সাবমিট করুন। এরপর অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড করে রাখুন।
মেডিকেল ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়।ইন্ডিয়ান
মেডিকেল ভিসা খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া এগুলো সঠিকভাবে না দিলে আবেদন প্রক্রিয়া
আটকে যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তালিকাঃ
- পাসপোর্ট কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- অনলাইন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের কপি
- হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার
- ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন/ রেফারেন্স লেটার/ বাংলাদেশের ডাক্তার
- ইন্ডিয়ান হাসপাতালের ইনভাইটেশন লেটার
- আগের ভিসার কপি/যদি থাকে
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের কপি
- ভ্রমণ পরিকল্পনা/Travel ltinerary
- ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লিপ
যত বেশি পরিষ্কার ডকুমেন্ট জমা দিবেন, ভিসা তত দ্রুত পাবেন।
মেডিকেলের অ্যাপয়েন্টমেন্ট আনার নিয়ম
ভারতের যেকোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে হলে আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট
নিতে হয়। এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারি ভিসা পাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ডকুমেন্ট।
কিভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাবেন?
হাসপাতালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যানঃ Apollo,Fortis,Narayana,AllMS,Tata
Memorial প্রতিটি হাসপাতালের আলাদা ওয়েবসাইট আছে।
অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট ফর্ম পূরণ করুন আপনারঃ
- রোগের বিবরণ
- আগের মেডিকেল রিপোর্ট
- পাসপোর্ট কপি
- ফোন নম্বর ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
ইমেইলের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাবেন এটি PDF ফরমেটে আসে এবং ভিসার জন্য
অপরিহার্য।
হাসপাতাল হেল্প লাইনে কল করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া বেশিভাগ হাসপাতালে
আন্তর্জাতিক রোগীদের জন্য আলাদা হেল্পলাইন থাকে।
মেডিকেল ভিসার মেয়াদকাল কত
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার
মেয়াদকাল সাধারণত ৬ থেকে ১ বছর পর্যন্ত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩ বার
এন্ট্রির অনুমতি দেওয়া হয়।
মেডিকেল ভিসার যা সুবিধা পাওয়া যায়ঃ
- যে কোন প্রদেশে হাসপাতালে যেতে পারবেন
- বড় অপারেশন থাকলে মেয়াদ বাড়ানো যায়
- রোগীর সঙ্গে দুইজন সহকারি Attendant Visa অনুমোদন পায়
- ইমার্জেন্সি চিকিৎসার ক্ষেত্রে দ্রুত প্রসেস হয়
যদি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, ভারত থেকে ভিসা এক্সটেনশন নেওয়া
যায়।
চিকিৎসা সম্পর্কে ভারতীয় দ্রুতাবাসের চিঠি
অনেক ক্ষেত্রে ভারতীয় দ্রুতবাস রোগীর অবস্থা ও প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে ভিসা
ইস্যুর জন্য একটি সুপারির চিঠি প্রদান করে।
এই চিঠি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- রোগী গুরুতর হলে ভিসা দ্রুত অনুমোদন হয়
- হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দ্রুত পাওয়া যায়
- ভিসা অফিসার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সম্পর্কে নিশ্চিত হন
চিঠি পেতে যা লাগেঃ
- রোগীর রোগের বিস্তারিত রিপোর্ট
- ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন
- ভারতীয় হাসপাতালের আমন্ত্রণপত্র
- ভ্রমণ পরিকল্পনা
- পাসপোর্ট কপি
চিঠিটি সাধারণত ২৪-৭২ ঘন্টার মধ্যে দেওয়া হয়।
ভিসার জন্য অনলাইন আবেদন
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনেই করা হয়। নিচে ধাপে ধাপে সহজ
নির্দেশনা দেওয়া হলোঃ
- অনলাইন পোর্টালে এ প্রবেশ করুনঃ মেডিকেল ভিসার সিলেক্ট করুন এবং তথ্যপূরণ শুরু করুন।
- ছবি ও ডকুমেন্ট আপলোড করুনঃ রিপোর্ট, প্রেসক্রিপশন, অ্যাপয়েন্টমেন্ট, সব PDF আকারে দিতে হয়।
- ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখ নির্বাচনঃ আপনার সুবিধামতো সময় দিন।
- অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিনে VFS সেন্টারে যান পাসপোর্ট, ফরম, ছবি, কাগজপত্র, জমা দিন।
- বায়োমেট্রিক সম্পূর্ণঃ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি নেওয়া হয়।
- ভিসা রিসিভঃ সাধারণত ৩-৭ দিনের মধ্যে ভিসা প্রস্তুত হয়।
রোগীদের জন্য ইন্ডিয়ান ডাক্তারি সুপারিশ
রোগীদের জন্য ইন্ডিয়ান হাসপাতাল সাধারণত আপনার মেডিকেল রিপোর্ট দেখে চিকিৎসার
ধরন এবং সম্ভাব্য খরচ সম্পর্ক ধারণা দেয়। এটি ডাক্তারি সুপারিশ লেটার।
এই চিঠিতে থাকেঃ
- রোগীর নাম
- রোগের ধরন
- কোন ডাক্তার দেখবেন
- চিকিৎসার সম্ভাব্য সময়
- ভর্তি দরকার কিনা
- আনুমানিক খরচ
ভিসা অফিসার এর চিঠিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের দূরত্ব
বাংলাদেশ থেকে ভারতের দূরত্ব বিভিন্ন স্থানের উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবেঃ
- ঢাকা থেকে কলকাতাঃ৪৫০ কিলোমিটার, আকাশপথে ৪৫ মিনিট, বাসে ১০-১২ ঘন্টা।
- ঢাকা থেকে দিল্লিঃ আকাশপথে ১,৭৫০ কিলোমিটার, ফ্লাইটে ২,৫-৩ ঘন্টা।
- ঢাকা থেকে চেন্নাইঃ১,৬০০ কিলোমিটার।
- ঢাকা থেকে বেঙ্গালুরুঃ১,৫৫০ কিলোমিটার।
ভ্রমণ পদ্ধতিঃ
- ফ্লাইট
- ট্রেন
- বাস
- ব্যক্তিগত গাড়ি/, বর্ডার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে।
চিকিৎসার জন্য সাধারণত ফ্লাইটই সবচেয়ে দ্রুত ও নিরাপদ।
উপসংহার
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা বাংলাদেশের রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের একটি
গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং বিশ্বমানের
হাসপাতালের কারণে ভারত বর্তমানে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় দেশ। তবে
যথাযথ তথ্য না থাকার কারণে অনেকেই আবেদন প্রক্রিয়ায় সমস্যায় পড়েন, যা সম্পন্ন
এড়ানো সম্ভব সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করলে।
প্রথমতঃ মেডিকেল ভিসা আবেদন করতে প্রয়োজনের ডকুমেন্টগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখা
অত্যন্ত জরুরি। পাসপোর্ট, হাসপাতালে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, চিকিৎসা বিষয়ক
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এবং অনলাইন আবেদন ফরম এইসব কাগজ ঠিকভাবে জমা দিলে ভিসা
পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। একইভাবে ভিসা ফরম সঠিকভাবে পূরণ করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সামান্য ভুলেই আবেদনের বাতিল হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ ভারতের যেকোনো হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট আগেভাগেই নিশ্চিত করা উচিত।
এটি ভিসা অফিসার কে চিকিৎসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয় এবং আবেদন
দ্রুত অনুমোদন পেতে সহায়তা করে। চিকিৎসা সংক্রান্ত ভারতীয় দ্রুতবাসের চিঠি ও
অনেক ক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তোলে, বিশেষ করে গুরুতর রোগীদের
ক্ষেত্রে।
তৃতীয়তঃ ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া মেডিকেল ভিসার
মেয়াদকাল সাধারণত ৬ মাস থেকে এক বছর হওয়া রোগীরা আরামে তাদের চিকিৎসা সম্পন্ন
করতে পারেন। প্রয়োজনে ভারতের অভ্যন্তরে ভিসা এক্সটেনশনেরও ব্যবস্থা রয়েছে,
চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীদের স্বস্তি দেয়।
সব শেষে বলা যায় ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা নেওয়ার প্রক্রিয়া মোটেও কঠিন নয়,
শুধু প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, সঠিক কাগজপত্র এবং সময় মত আবেদন করা। এই সমস্ত
ধাপ সঠিকভাবে অনুসরণ করলে খুব সহজেই ভারত থেকে মানসম্মত চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব।
আশা করি এ নির্দেশনা গুলো আপনার ভ্রমণ ও চিকিৎসা প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করে তুলবে
এবং আপনাকে পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হতে
সাহায্য করবে।



আপনার মূল্যবান মতামত এখানে টাইপ করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url