স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার কার্যকারী ১০টি ময়শ্চারাইজার ক্রিম

 

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার কার্যকারী ১০টি ময়শ্চারাইজার ক্রিম ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করা অনেকেরই স্বপ্ন, কিন্তু ভুল ক্রিম ব্যবহারে ত্বক উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ময়শ্চারাইজার ক্রিম সম্পর্কে, যেগুলো সত্যিই কাজ করে।

স্থায়ীভাবে-ফর্সা-হওয়ার-কার্যকার-১০-টি-ময়শ্চারাইজার-ক্রিমএই ক্রিমগুলো ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়, কালচে ভাব দূর করে আর এনে দেয় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক হবে কমল, মসৃণ, ও দাগহীন। চলুন জেনে নিই কোন ক্রিমগুলো আপনার ত্বক ফর্সা করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

সূচিপত্রঃস্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার কার্যকারী ১০টি ময়শ্চারাইজার ক্রিম

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার কার্যকারী ১০টি ময়শ্চারাইজার ক্রিম

ত্বক ফর্সা করার প্রয়োজনীয়তাঃ
আমরা সবাই চাই আমাদের ত্বকটা হোক উজ্জ্বল, দাগহীন ও ফর্সা। কিন্তু শুধু সাবান বা সাধারণ ক্রিম ব্যবহার করলেই ত্বক ফর্সা হয় না। এজন্য দরকার এমন ময়শ্চারাইজার ক্রিম, যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ময়শ্চারাইজার ত্বককে নরম রাখে, রোদে পোড়া ভাব দূর করে এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করে তোলে।

পন্ডস হোয়াইট বিউটি ক্রিমঃ
এই ক্রিমটি অনেক বছর ধরে জনপ্রিয়। এতে আছে ভিটামিন বি৩, যা ত্বকের কালচে ভাব ও দাগ দূর করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের রং সমান হয়ে আসে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই ভালোভাবে কাজ করে।

ওলে ন্যাচারাল হোয়াইট ডে ক্রিমঃ
ওলে ক্রিমে রয়েছে মাল্টিভিটামিন ও সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষার উপাদান। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে, শুষ্কতা কমায় এবং ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। প্রতিদিন সকালে মুখ ধুয়ে অল্প করে লাগালে সারাদিন ত্বক সতেজ ও কোমল থাকে।

ফেয়ার এন্ড লাভলী মাল্টি ভিটামিন ক্রিমঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ক্রিম গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি এবং ই , যা ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের দাগ, ফ্রিকলস ও কালো ভাব ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়।

গার্নিয়ার লাইট কমপ্লিট ক্রিমঃ
গার্নিয়ার ক্রিমে রয়েছে লেবুর নির্যাস ও ভিটামিন সি, যা ত্বকের দাগ দূর করতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে দারুন কাজ করে। এটি ত্বকের রোদে পোড়া দাগ হালকা করে এবং ত্বককে সতেজ রাখে।

লোটাস হারবাল হোয়াইট গ্লো ক্রিমঃ
এই ক্রিমটি প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি, যেমন দুধ, আঙ্গুর ও গ্রিন টি। এটি ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং কালচে ভাব কমায়। রাসায়নিক বিহীন হওয়ায় এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ও নিরাপদ।

লরিয়াল প্যারিস হোয়াইট পারফেক্ট ডে ক্রিমঃ
এই ক্রিমে রয়েছে ট্যুরমালিন ও ভিটামিন সি, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের রোদে পোড়া ভাব থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে দীর্ঘ সময় মসৃণ রাখে। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বকের রঙ ধীরে ধীরে ফর্সা হয়ে যাই।

নিভিয়া এক্সট্রা হোয়াইটনিং সেল রিপেয়ার ক্রিমঃ
নিভিয়া ক্রিমে রয়েছে ভিটামিন সি ও বেরি এক্সট্র্যাক্ট, যা ত্বকের ক্ষতি সারিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি বেশ উপকারী।

বায়ো কেয়ার ফেয়ারনেস ক্রিমঃ
এই ক্রিমটি সম্পূর্ণ হারবাল উপাদানের তৈরি। এতে আছে অ্যালোভেরা, চন্দন ও লেবুর নির্যাস। এটি ত্বক ঠান্ডা রাখে, দাগ কমায় এবং ফর্সা ভাব স্থায়ী করে। যাদের সংবেদনশীল ত্বক, তাদের জন্য এটি একটি নিরাপদ বিকল্প।

হিমালয় ফেয়ারনেস ক্রিমঃ
হিমালয় ক্রিমে রয়েছে দুধ, অ্যালোভেরা ও লিকোরিস এক্সট্র্যাক্ট, যা ত্বকের দাগ কমিয়ে উজ্জ্বলতা আনে। এটি ত্বকের তেলাভাব নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বককে করে মসৃণ ও ফর্সা। প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বকের রঙে পার্থক্য সহজে বোঝা যায়।

পন্ডস সুপার লাইট জেল ময়শ্চারাইজারঃ
এই ক্রিমটি জেল টাইপের, তাই মুখে তেল জমে না। এতে আছে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও ভিটামিন ই, যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে ও উজ্জ্বল করে তোলে। এটি বিশেষভাবে গরম আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত, কারণ এটি ত্বক ঠান্ডা রাখে ও আঠালো করে না।

ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের নিয়মঃ
প্রতিদিন সকালে ও রাতে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরপর অল্প পরিমাণ ক্রিম হাতে নিয়ে মুখে হালকা করে  ম্যাসাজ করুন। খুব বেশি না লাগিয়ে পাতলা করে ব্যবহার করুন। সূর্যের আলোতে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করুন ও পর্যাপ্ত ঘুমান, এতে ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই ফর্সা ও সুন্দর থাকবে।

ত্বক ফর্সা করা মানেই কৃত্রিম ভাবে রং পরিবর্তন নয়, বরং ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখা। ওপরে উল্লেখিত ময়শ্চারাইজার গুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং দাগ কমাতে দারুন কার্যকর। নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি ভালো ক্রিম বেছে নিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করুন। কিছুদিনের মধ্যেই ত্বক হবে ফর্সা, মসৃণ ও আত্মবিশ্বাসে ভরা।

ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম

ত্বক ফর্সা করা প্রয়োজনীয়তাঃ প্রতিটি মানুষই চায় তার ত্বকটা হোক  সুন্দর, উজ্জ্বল আর দাগ মুক্ত। কিন্তু দূষণ, রোদ, ঘাম, আর অনিয়মিত জীবন যাপনের কারণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। অনেকেই তখন তাড়াহুড়ো করে নানা ক্রিম ব্যবহার করেন, যা উল্টাে ত্বকের ক্ষতি করে। তাই ত্বক ফর্সা করার ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ বা ত্বক বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

ডাক্তারি ক্রিম কেন আলাদাঃ বাজারে অনেক ক্রিম আছে যেগুলো কয়েক দিনেই ফর্সা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এসব ক্রিমের বেশি ভাগেই ক্ষতিকর রাসায়নিক যেমন স্টেরয়েড, পারদ Mercury, বা হাইড্রো কুইনোন থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে ত্বক পুড়িয়ে দেয়, পাতলা করে ফেলে, এমনকি স্থায়ী ক্ষতি করে। ডাক্তারি ক্রিমগুলো কিন্তু ভিন্ন। এগুলো তৈরি হয় ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী। ত্বক বিশেষজ্ঞরা এমন উপাদান ব্যবহার করেন যা ত্বককে ধীরে ধীরে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করে। কিন্তু কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।

ফর্সা হওয়ার জন্য জনপ্রিয় ডাক্তারি ক্রিমগুলোঃ

Meladerm Skin Lightening Cream
এটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ডাক্তারি সুপারিশ কৃত ক্রিম। এতে পারদ বা ক্ষতিকর রাসায়নিক নেই। এতে আছে কজিক এসিড, লিকােরিস এক্সট্র্যাক্ট, ভিটামিন সি ও আলফা আরবুটিন, যা ত্বকের কালো দাগ ও পিগমেন্টেশন দূর করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের রং ধীরে ধীরে ফর্সা হয়।

Demelan Cream
এই ক্রিমটি অনেক ত্বক বিশেষজ্ঞ ফর্সা করার জন্য প্রেসক্রাইব করেন। এতে আছে গ্লাইকোলিক এসিড ও আরবুটিন, যা ত্বকের দাগ ও কালো ছোপ দূর করে। এটি ত্বকের মৃত কোষ তুলে দেয় এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে।

Hydroquinone Free Creams যেমন Kojiglo Gel
আগে অনেক ফর্সা করা ক্রিমে হাইড্রোকুইনোন থাকতো, কিন্তু এখন ত্বক বিশেষজ্ঞরা এটি এড়িয়ে চলেন। তার পরিবর্তে কোজিক এসিড বা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।যেমন Kojiglo Gel এটি ত্বকের দাগ হালকা করে ও রং সমান করে।

Benoquin Cream 
বিশেষ ক্ষেত্রে এই ক্রিমটি সাধারণভাবে নয়, বরং কিছু নির্দিষ্ট স্কিন কন্ডিশনে যেমন ভিটিলিগো ডাক্তার পরামর্শে ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকের পিগমেন্ট সমান করতে সাহায্য করে। তবে এটি অবশ্যই বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করতে হয়।

Hydra White Cream
এই ক্রিমে আছে গ্লুটাথায়োন, ভিটামিন সি ও নিয়াসিনামাইড, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে দারুন কাজ করে। এটি ত্বকে আর্দ্র রাখে, দাগ হালকা করে এবং ফর্সা ভাব স্থায়ী করে।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার কার্যকারী ১০টি ময়শ্চারাইজার ক্রিম কিভাবে এসব ক্রিম ব্যবহার করবেন ডাক্তারি ক্রিম সবসময় নিজের ইচ্ছা মত ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রথমে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে জেনে নিতে হবে কোন ক্রিমটি আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত। সাধারণত রাতে ঘুমানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে অল্প পরিমাণ ক্রিম লাগাতে হয়। দিনে সূর্যের আলোতে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে, কারণ অনেক ফর্সা করার ক্রিমে ত্বক সূর্যের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে যায়।

সতর্কতাঃ
  • কখনোই অজানা বা রাসায়নিক যুক্ত দ্রুত ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
  • ত্বক চুলকানো, জ্বালাপোড়া বা লালচে হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার বন্ধ করুন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া হরমোন বা স্টেরয়েড যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
  • সব সময় আসল পণ্য কিনুন, নকল ক্রিমে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি হয়।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা থাকার টিপস
ডাক্তারি ক্রিম এর পাশাপাশি কিছু সহজ অভ্যাস ত্বককে দীর্ঘস্থায়ীভাবে ফর্সা রাখতে সাহায্য করে।
  • প্রচুর পানি পান করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুমান।
  • তাজা ফল ও শাকসবজি খান।
  • সূর্যের রোদে দীর্ঘক্ষণ না থাকুন।
  • প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন এবং রাতে ত্বক বিশ্রাম দিন।
ফর্সা হওয়ার মানেই নিজের ত্বকের প্রকৃতি বদলানো নয়, বরং সেটাকে আরো স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে তোলা। তাই দ্রুত ফল পাওয়ার আশায় ক্ষতিকর ক্রিম না ব্যবহার করে, ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মত নিরাপদ ডাক্তারি ক্রিম ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে ত্বকে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা, দাগ কমে যাবে এবং আপনি পাবেন আত্মবিশ্বাসে ভরা সুন্দর ত্বক।

মুখ ফর্সা ও উজ্জ্বল রাখার সেরা ক্রিমের তালিকা

  1. পন্ডস হোয়াইট বিউটি ক্রিমঃপন্ডসের এই ক্রিমে রয়েছে ভিটামিন বি৩, যা ত্বকের কালচে ভাব ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে।
  2. ফেয়ার এন্ড লাভলী মাল্টিভিটামিন ক্রিমঃ ফেয়ার এন্ড লাভলির এই ক্রিমে ভিটামিন সি, বি৩, ও ই রয়েছে, যা ত্বকের দাগ কমাতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
  3. গার্নিয়ার লাইট কমপ্লিট ক্রিমঃ গার্নিয়ারের এই ক্রিমে রয়েছে লেবুর নির্যাস ও ভিটামিন সি, যা ত্বকের দাগ দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
  4. ল অরিয়াল প্যারিস হোয়াইট পারফেক্ট ক্রিমঃ ল অরিয়ালরের এই ক্রিমে রয়েছে ট্যুরমালিন ও ভিটামিন সি,যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে রোদে পোড়া ভাব থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে দীর্ঘ সময় মসৃণ রাখে।
  5. ল্যাকমে স্কিন হোয়াইটেনিং ক্রিমঃ ল্যাকমের এই ক্রিমে ভিটামিন বি৩ রয়েছে, যা ত্বকের পুষ্টি দেয় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযুক্ত।
  6. দ্য বডি শপ ভিটামিন ই নাইট ক্রিমঃদ্য বডি শপের এই নাইট ক্রিমে ভিটামিন ই,হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও হুইট অয়েল রয়েছে, যা ত্বককে গভীরভাবে হাইড্রেট করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
  7. সিম্পল ভিটাল ভিটামিন ক্রিমঃ সিম্পলের এই ক্রিমে ভিটামিন সি ও ই রয়েছে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটির ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখে।
  8. নিউট্রোজেনা হাইড্রো বুস্ট ওয়াটার জেলঃনিউট্রোজেনার এই জেলে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বকে গভীরভাবে আর্দ্রতা প্রদান করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।
  9. মর্মাআর্থ ওভারনাইট রিপেয়ার ফেইস ক্রিমঃমর্মাআর্থের এই ক্রিমে শিয়া বাটার, আমন্ড অয়েল ও স্যাফ্রন এক্সট্র্যাক্ট রয়েছে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে গভীরভাবে হাইড্রেট করে।
  10. সেম বাই মাই ইউজা নিয়াসিন ব্রাইটেনিং স্লিপিং মাস্কঃসেম বাই মাই এর এই মাস্কে ইউজা ও নিয়াসিয়া মাইড রয়েছে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
ব্যবহারের পরামর্শঃ
  • প্রতিদিন সকালে ও রাতে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
  • অল্প পরিমাণ ক্রিম হাতে নিয়ে মুখে হালকা করে মাসাজ করুন। দিনে সূর্যের আলোতে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও ভালো ঘুমান।
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার কার্যকারী ১০টি ময়শ্চারাইজার ক্রিম এই ক্রিম গুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং দাগ কমাতে সাহায্য করে। তবে যে কোন নতুন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে ত্বকের একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করে নিন, যাতে কোন এলার্জি বা প্রতিক্রিয়া না হয়।

শরীর ফর্সা ও মসৃণ করার নিরাপদ ক্রিম গুলো জানুন

নিরাপদ হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোঃ
  • প্রথমে বুঝে রাখুনঃ বড় এলাকায় ত্বক হিউজ ভাবে ফর্সা করার চাওয়া সাধারণত বিজ্ঞাপনের গল্প বেশি, বাস্তবে তককে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখা সম্ভব আর রং সম্পূর্ণ বদলানো নয়।
  • যেসব উৎপাদন বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেন যেমন-Kojic acid,Azelaic acid,Tranexamic acid, বা ভিটামিন সি, নাইয়াসিনামাইড।
  • বিপদ হতে পারে এমন উপাদানঃ পারদ mercury উচ্চমাত্রায় স্টেরয়েড, অনিয়ন্ত্রিত হাইড্রোকুইনোন।
  • ক্রিম ব্যবহারের আগে সংক্ষিপ্ত পর্যায়ে পরীক্ষণ Patch test করা ভালো, কোন র‍্যাশ, চুলকানি, লালচে ভাব দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করুন।
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক, কারণ ফর্সা বা উজ্জ্বল করার কার্যক্রমের সঙ্গে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা অত্যন্ত জরুরী।
কিছু ভালো উপযুক্ত ক্রিমের পরামর্শঃ
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার কার্যকারী ১০টি ময়শ্চারাইজার ক্রিম নিচের ক্রিম গুলো বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুযায়ী এবং শরীরের ত্বকে ব্যবহার উপযোগী এমন ধরনের, তবে যে কোন ক্রিম বেছে নেওয়ার আগে নিজের ত্বকের ধরন ও অবস্থা দেখে ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করুন।
  • Palmers Skin Success Anti Dark Spot Fade Milk Body Lotion নাইয়াসিনামাইড যুক্ত, দাগ কমাতে ও রং সমান রাখতে সহায়ক।
  • Olay Retinol Body Lotion রেটিনল নাইয়াসিনামাইড যুক্ত, ত্বকের বৈকল্পিকতা uneven tone উন্নত করে ও মসলিন ভাব আনে।
  • আপনার দেশীয় বাজারে পাওয়া যায় এমন হারবাল কসমেটিক ব্র্যান্ড গুলোতেও শরীরের হাইড্রেশন ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে উপযোগী লোশন আছে।

গা কালো মেয়েদের জন্য পরীক্ষিত ফর্সা হওয়ার ক্রিম

কেন পরীক্ষিত ক্রিম দরকারঃ
  • অনেক ফর্সা ক্রিমের স্টেরয়েড পারদ mercury বা হাইড্রোকুইনোনের মতো উপাদান থাকতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ত্বক ক্ষতি করতে পারে।
  • ত্বক রং গাড় হলে pigmented skin সাধারণ ব্র্যান্ডেড ক্রিম সবসময় কার্যকর হবে না, কারণ মেলানিন উৎপাদন বেশি। উপযুক্ত উপাদান ও নিরাপদ ফর্মুলা দরকার।
  • সানপ্রোটেকশন কিংবা নিয়মিত ব্যবহারের ফল ভালো আসে, তবে এটি চোখে পড়া এক রাতের ফিনিশ নয় ধাপে ধাপে কাজ করে।
কিছু ভালো পরামর্শযোগ্য ক্রিমঃ
নিচে কয়েকটি ক্রিম দেওয়া হল যেগুলো বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় বা অনলাইন শপিংয়ে পাওয়া যেতে পারে। এগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন, মেইন উপাদান দেখুন, ব্র্যান্ড নিশ্চিত করুন, এবং আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
  • Kozicare Skin Lightening Cream এতে রয়েছে কোজিক এসিড, আরবুটিন,গ্লুথায়ন ও নিয়াসিনামাইড। ত্বকের দাগ ও অসম রং হালকা করতে সহায়ক।
  • Demelan Cream Glycolic Acid Arbutin Kojic Acid Dipalmitate পিগমেন্টেশন ও দাগ কমাতে ডিজাইন করা। সানস্ক্রিনসহ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
  • বাজারে আরও ক্রিম আছে যেগুলো ডার্মাটোলজিস্ট রেকমেন্ডেড ব্রাইটনিং হিসেবে পরিচিত, যেমন আলফা আরবুটিন, নিয়াসিনামাইড বা ভিটামিন সি যুক্ত ফর্মুলা।
ব্যবহারের সময় নজর দেওয়া বিষয়ঃ
  • প্রথমে patch test করুন সংবেদনশীল ত্বকে লালচে ভাব, জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • দিনে উপযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি, কারণ ব্রাইটনিং ক্রিম ত্বকে রোদে আরো সংবেদনশীল করে তোলে।
  • ডাকবার রং অসমতা থাকলে শুধু ক্রিম নয়, ত্বক বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে অন্য চিকিৎসা ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে।
  • দ্রুত রূপ বদলের আশায় ১৪ দিনেই ফল ভাব বাসযোগ্য নয়, সাবধানে ধীরে ধীরে ফল আসে।

দ্রুত ও প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কার্যকর উপায়

প্রত্যেকেই ইচ্ছে থাকে ত্বকটা একটু উজ্জ্বল আর ফর্সা দেখাক। স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার কার্যকারী ১০টি ময়শ্চারাইজার ক্রিম কিন্তু সবাই তো আর ব্যয়বহুল ক্রিম বা পার্লারে গিয়ে ফেয়ারনেস ট্রিটমেন্ট করতে পারে না। আসলে চাইলে ঘরোয়া উপায়েই ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করা সম্ভব, শুধু দরকার একটু ধৈর্য আর নিয়মিত যত্ন। চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনি প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে পারেন।
স্থায়ীভাবে-ফর্সা-হওয়ার-কার্যকার-১০-টি-ময়শ্চারাইজার-ক্রিম
লেবুর রস ব্যবহার করুনঃ লেবুতে আছে ভিটামিন সি, যা ত্বকের মরা কোষ দূর করে আর দাগ কমাতে সাহায্য করে।

ব্যবহারঃ এক চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করলে ত্বক আস্তে আস্তে ফর্সা ও উজ্জ্বল দেখাবে

সতর্কতাঃ রোদে বের হওয়ার আগে লেবুর রস মুখে মাখবেন না, এতে ত্বক কালো হতে পারে।

কাঁচা দুধ ও ময়দার প্যাকঃকাঁচা দুধে ল্যাকটিক এসিড থাকে বা ত্বকের কালচে ভাব দূর করে।

প্যাক তৈরি করুনঃ দুই চা চামচ কাঁচা দুধ, এক চা চামচ বেসন বা ময়দা, আর এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পেস্ট বানান। এটি মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের রং স্বাভাবিকভাবে ফর্সা হয়ে যাবে।

মধু ও দইয়ের ফেসপ্যাকঃ মধু ত্বক আর্দ্র রাখে আর দই উজ্জ্বল করে।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ এক চা চামচ দইয়ের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে ফর্সা করার পাশাপাশি দাগ ও রুক্ষ ভাব ও দূর করে।

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারঃ অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের দাগ হালকা করে, ফর্সা করে এবং মসৃণ রাখে।

ব্যবহারঃঅ্যালোভেরার পাতার ভেতরে জেলটি বের করে সরাসরি মুখে লাগান।২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহার করলে মুখে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা চলে আসবে।

কলা ও দুধের মাস্কঃ কলা ত্বককে নরম করে এবং দুধ ফর্সা করতে সাহায্য করে।

তৈরি পদ্ধতিঃ একটি পাকা কলা মেখে তাতে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান।১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলে ফর্সা ভাব ও উজ্জ্বলতা বাড়বে।

রোদে থেকে নিজেকে রক্ষা করুনঃ ত্বক ফর্সা রাখতে চাইলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে। রোদে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এসপিএফ ৩০ বার তার বেশি। চশমা, টুপি ও ছাতা ব্যবহার করলে আরো ভালো ফল পাবেন।

ত্বকের যত্নে স্বাস্থ্যকর খাবারঃ ত্বক ফর্সা ও সুন্দর রাখতে ভেতর থেকেও যত্ন নিতে হয়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন, তাজা ফল ও শাকসবজি খান। ভিটামিন সি, ই এবং এন্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে। চিনি ও অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার কমিয়ে দিন।

ঘুম ও মানসিক শান্তিঃ ভালো ঘুম আর মানসিক প্রশান্তি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান। স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন, ত্বক ও তখন স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল থাকবে।

ত্বক ফর্সা করা কোন জাদু নয়, এটি ধীরে ধীরে সম্ভব হয় যত্ন ও নিয়মিত যত্নে। অন্যের মত হতে গিয়ে নিজের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাবেন না। নিজের ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন নিন দেখবেন প্রাকৃতিকভাবেই আপনি ফর্সা, উজ্জ্বল আর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন।

হাত পা ফর্সা ও কোমল করার জনপ্রিয় ক্রিম

ক্রিমগুলোঃ
  1. Danbys Foot & Hand Whitening Cream হাত ও পায়ের ত্বকে রং অসমতা, কালচে ভাব কমাতে সহায়ক বলে দাবি করা হয়েছে।
  2. Derma Shine 2-in-1 Hand & Foot Lightening Whitening Cream  হাত পায়ের জন্য বিশেষভাবে তৈরি লোশন।
  3. Albasha Care Hand Feet Body Lightening Cream গ্লুথায়ন, কোজিক এসিড ও আলফা আরবুটিন যুক্ত ফর্মুলা।
  4. Pharma Clinix Lightenex Hand & Foot Cream SPF40 ইউরিয়া,স্যালিসিলিক অ্যাসিড, নাইয়াসিনামাইড, লিকারিস এক্সট্র্যাক্ট সহ যা পায়ে হাতে মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা আনে।
ব্যবহার করার পরামর্শঃ
  1. প্রথমে ক্রিম লাগানোর আগে একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করুন, যেমন হাতে পা টি জুতে ২৪ ঘন্টা দেখুন কোন জ্বালাপোড়া বা লালচে ভাব হচ্ছে কিনা।
  2. হাত ও পায়ের ত্বক পরিষ্কার ও শুকনো অবস্থায় ক্রিম লাগান। ম্যাসাজ করে ভালোভাবে শোষিত করুন।
  3. দিনে আলো বা রোদে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, কারণ ফর্সা করার প্রস্তুতি ত্বককে রোদ সান্ধ্য রে ক্ষতির দিকে বেশি সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।
  4. নিয়মিত ব্যবহার এবং ধৈর্য জরুরী এক দুইদিনে ফল আশা করবেন না।
  5. যদি ত্বকে কোন অস্বাভাবিকতা দেখা দেয় চুলকানি, বলিরেখা, ফুসকুড়ি, তাহলে ব্যবহার বন্ধ করে ত্বক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নিন।

রাতে ব্যবহারের জন্য স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম

ক্রিম 4k Plus 5x Whitening Night Cream বৈশিষ্ট্য ও কার্যকারিতাঃ
  • এই নাইট ক্রিমটি মূলত রং অসমতা dark spots অনিয়মিত ত্বক রং uneven skin tone এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সরল রাখার উদ্দেশ্যে তৈরি।
  • এতে রয়েছে গ্লুটাথায়ন কোলাজেন যেগুলো ত্বকের রং হালকা করতে ও গঠন শক্ত রাখতে সাহায্য করে।
  • ত্বককে গভীর ভাবে ময়শ্চারাইজার করে, ফলে সকালে ত্বক হয় আরো নরম সুস্থ ও উজ্জ্বল।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
  • রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ও ঘাড় পরিষ্কার করুন।
  • একটি ছোট পরিমাণ ক্রিম নিয়ে হালকা হাতে ত্বকে ম্যাসাজ করুন, চোখও ঠোঁটের চারপাশ এড়িয়ে।
  • ধীরে ধীরে শুষে গেলে ঘুমান সকালে ধুয়ে ফেলুন।
  • নিয়মিত প্রতি রাত ব্যবহার করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ত্বকের রঙে ও তার উজ্জ্বলতায় পার্থক্য দেখা দিতে পারে।
কেন বেছে নেওয়া উচিতঃ
  • স্থায়ী বাজারে সহজলভ্য।
  • রং অসমতা ও দাগ কমাতে বিশেষ formulation দেওয়া হয়েছে।
  • রাতে ব্যবহার হওয়ার দিনে আলো ও রোদ সংক্রান্ত ক্ষয় থেকে কিছুটা মুক্ত থাকতে পারে।
সর্তকতা ও টিপসঃ
  • ত্বকে প্রথমবার ব্যবহার করার আগে একটি ছোট অংশে যেমন গাল বা ঘাড়ের একটি অংশ পরীক্ষা করুন যদি র‍্যাশ, লালচে ভাব বা কোন অস্বস্তি হয় তবে ব্যবহার বন্ধ করুন।
  • এ ধরনের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি বা ফর্সা হওয়া ক্রিম ব্যবহার করলেও রোদে বের হওয়ার প্রথমেই সানস্ক্রিন ব্যবহার অপরিহার্য, কারণ রাতের ক্রিম ত্বককে রোদ সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।
  • প্রত্যাশা রাখুন বাস্তব সম্মত দ্রুততম সময়ে পুরোপুরি রং পরিবর্তন হয় না, ধীরে ধীরে নিয়মিত ব্যবহারের ফল আসে।
  • যদি ত্বকে অতিরিক্ত লালচে ভাব ফুসকুড়ি বা বিশেষ সমস্যা রয়েছে, তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ Dermatologist দেখে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নাইট ক্রিম ব্যবহারের সময় যে বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকবেন

  1. মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করুনঃ নাইট ক্রিম লাগানোর আগে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নেন। দিনের জমে থাকা ধুলো ময়লা ও মেকআপ না তুললে ক্রিম ত্বকের ভিতরে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
  2. ঘুমানোর আগে ব্যবহার করুনঃ নাইট ক্রিম শুধু রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে হবে। কারণ এ সময়ে ত্বক নিজেকে পূর্ণ গঠন করে। ঘুমানোর ১৫-২০ মিনিট আগে ক্রিম লাগালে ত্বকে ভালোভাবে শোষিত হয়।
  3. পরিমাণে বেশি ক্রিম ব্যবহার করবেন নাঃ অনেকেই ভাবেন বেশি ক্রিম লাগালে ত্বক দ্রুত ফর্সা হবে এটি সম্পূর্ণ ভুল। অতিরিক্ত ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক বন্ধ হয়ে যায় ফলে ব্রণ বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  4. ত্বকের ধরানো অনুযায়ী ক্রিম বাছাই করুনঃ শুষ্ক, তেলাক্ত, মিশ্র, প্রতিটি ত্বকের জন্য আলাদা নাইট ক্রিম দরকার। যেমন-তেলাক্ত ত্বকের জন্য oil free বা gel based ক্রিম আর শুষ্ক ত্বকের জন্য moisturizing বা hydrating ক্রিম।
  5. নতুন ক্রিম সরাসরি পুরো মুখে লাগাবেন নাঃ মুখের একপাশে বা গলায় একটু লাগিয়ে দেখুন ২৪ ঘন্টা কোন এলার্জি বা জ্বালা হয় কিনা। এতে বোঝা যাবে ক্রিমটি আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত কিনা।
  6. সকালে উঠেই মুখ ধুয়ে ফেলুনঃ রাতভর ক্রিম কাজ করার পর সকালে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক সতেজ থাকে এবং রোদে বের হলে কোন অস্বস্তি হয় না।
  7. রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুনঃ অনেক নাইট ক্রিমে এমন উপাদান থাকে যা ত্বককে সূর্যের আলোতে সংবেদনশীল করে তোলে। তাই সকালের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুবই জরুরী।
  8. ফলাফলের জন্য ধৈর্য ধরুনঃ নাইট ক্রিম কোন ম্যাজিক নয় সাধারণত ৩-৪ সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করলে ফলাফল দেখা যায়। দ্রুত ফলের আশায় একসাথে একাধিক ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
  9. সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুনঃ ক্রিম সরাসরি সূর্যের আলো বা অতিরিক্ত গরম স্থানে রাখবেন না। ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখলে উপাদানগুলো কার্যকর থাকে।
  10. সমস্যা হলে ব্যবহার বন্ধ করুনঃ যদি চুলকানি, লালচে ভাব বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়, সঙ্গে সঙ্গে ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন।
স্থায়ীভাবে-ফর্সা-হওয়ার-কার্যকার-১০-টি-ময়শ্চারাইজার-ক্রিম

উপসংহার

স্থায়ীভাবে ফর্সা ত্বক পেতে কার্যকরী ময়শ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহারের পাশাপাশি সঠিক রুটিন অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন নিয়মিত ক্লিনজিং, টোনিং, এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, এবং পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়ক।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার কার্যকারী ১০টি ময়শ্চারাইজার ক্রিম তবে ক্রিম ব্যবহারের সময় ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্য নির্বাচন করা উচিত। যেমন তো লাগতো ত্বকের জন্য নন কমেডোজেনিক ক্রিম, শুষ্ক ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ক্রিম, এবং সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হালকা উপাদান যুক্ত ক্রিম বেছে নেওয়া উচিত।

মনে রাখতে হবে, কোন ক্রিমই একদিনে ম্যাজিকের মত কাজ করে না। নিয়মিত ও সঠিক ব্যবহারে ত্বকে পরিবর্তন আসবে। তবে যদি ত্বকে কোন অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

সর্বোপরি প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ। তবে ক্রিম ব্যবহারের পাশাপাশি সঠিক জীবন যাপন ও ত্বকের যত্ন ত্বকের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বজায় রাখতে অপরিহার্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মূল্যবান মতামত এখানে টাইপ করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url