প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়? একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের আবির্ভাব
বাংলাদেশের প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ
শ্রমিক বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য যাচ্ছেন এবং দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।
এদের সহায়তা , কল্যাণ এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার "প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক" প্রতিষ্ঠা করে। এই আঁটিকেলে আমরা জানবো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত
টাকা লোন দেয়, কারা আবেদন করতে পারেন, এবং এর বিভিন্ন শর্ত ও সুযোগ গুলো কিভাবে
প্রবাসী ও তাদের পরিবারকে উপকার করে।
সূচিপত্রঃপ্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়? একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন ধরন সমূহ
- মাইগ্রেশন লোনের পরিমাণ এবং শর্ত
- রিহ্যাবিলিটেশন লোনের বিস্তারিত তথ্য
- লোনের যোগ্যতা মাপকাঠি বিস্তারিত
- সুদের হার এবং পরিশোধ মেয়াদ
- লোন আবেদনের প্রক্রিয়া বিস্তারিত
- প্রয়োজনীয় দলিল পত্রের সম্পন্ন তালিকা
- লোন পাওয়ার সুবিধা এবং উপকার
- বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ঋণ
- উপসংহার
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক পিকেবি বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য একটি বিশেষায়িত
ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান, যা ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।এই ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য
হলো প্রবাসী বাংলাদেশীদের অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করা বিশেষ করে লোনের মাধ্যমে।
প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠায় কিন্তু তাদের
নিজস্ব চাহিদা পূরণে প্রায়ই অসুবিধার সম্মুখীন হন। পিকেবি এই ফাঁক পূরণ করে
বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে ।
যেমন- মাইগ্রেশন লোন, রিহ্যাবিলিটেশন লোন এবং অন্যান্য বিশেষ স্কিম, এই লোন গুলোর
পরিমাণ সাধারণত ৫০ হাজার থেকে ৫০লাখ টাকা পর্যন্ত হয়।যা প্রবাসীদের বিদেশ যাওয়া
ফিরে আসার পর পুনর্বাসন বা ব্যবসা শুরু করতে সাহায্য করে।এই আর্টিকেলে আমরা
বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব পিকেবি লোনের পরিমাণ, যোগ্যতা, সুবিধা এবং আবেদন
প্রক্রিয়া নিয়ে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন ধরনসমূহ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন অফার করে যা প্রবাসীদের নির্দিষ্ট
চাহিদা পূরণ করে। প্রধান লোন গুলোর মধ্যে রয়েছে মাইগ্রেশন লোন যা বিদেশ
যাওয়ার খরচ মেটাতে সাহায্য করে ।এছাড়া রিহ্যাবিলিটেশন লোন ফিরে আসা
প্রবাসীদের পুনর্বাসনে ব্যবহৃত হয় ব্যক্তিগত লোন মেডিকেল বা জরুরি খরচের জন্য
দেওয়া হয়।শিক্ষা লোন প্রবাসীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য সহায়তা প্রদান
করে, হোম লোন, ঘর কেনা বা নির্মাণের জন্য উপলব্ধ। ব্যবসায়িক লোন নারী
উদ্যোক্তা বা কৃষি সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য।
২০২৫ সালে নতুন বিশেষ লোন স্কিম চালু হয়েছে যা কোল্যাটারাল -ফ্রি।প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয় এই লোন গুলোর পরিমাণ ৫০ হাজার থেকে ৫০ লাখ টাকা
পর্যন্ত প্রত্যেক লোনের উদ্দেশ্য ভিন্ন,যাতে প্রবাসীরা তাদের জীবনের বিভিন্ন
পর্যায়ে সহায়তা পান। উদাহরণস্বরূপ মাইগ্রেশন লোন ২ লাখ টাকা পর্যন্ত দেয়
রিহ্যাবিলিটেশন ৫০ লাখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।এ ধরনগুলো প্রবাসীদের অর্থনৈতিক
স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে, লোন নেওয়ার আগে ধরন বুঝে নেওয়া জরুরী। এতে করে ভুল
সিদ্ধান্ত এড়ানো যাই, সরকারি সহায়তা চালিত তাই বিশেষত এই বৈচিত্র্য
প্রবাসীদের জন্য আকর্ষণীয়।
মাইগ্রেশন লোনের পরিমাণ এবং শর্ত
মাইগ্রেশন লোন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সবচেয়ে জনপ্রিয় লোন, যা বিদেশ যাওয়ার
খরচ মেটাতে দেওয়া হয়।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয় এর পরিমাণ
সাধারণত ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ,কিন্তু গ্রুপ অ্যাপ্লিকেশনে ২৫ লাখ পর্যন্ত হতে
পারে। শর্তাবলী অনুসারে আবেদনকারী কে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে এবং ১৮-৬৫ বছর
বয়সী।স্থিতিশীল আয়ের প্রমাণ দিতে হবে, এই লোন কোল্যাটারাল -ফ্রি যা
প্রবাসীদের জন্য সুবিধা জনক। সুদের হার ৯% কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ৪% পর্যন্ত
কমানো হয়েছে, পরিষদের মেয়াদ ১০ বছর পর্যন্ত আবেদনের জন্য পাসপোর্ট ওয়ার্ক
পারমিট এবং আয়ের প্রমাণ দরকার।
এই লোন প্রবাস যাবার খরচ যেমন ভিসা ফ্রি টিকেট কভার করে অনেক প্রবাসী এতে উপকৃত
হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ একজন শ্রমিক এই লোন নিয়ে সৌদি গিয়ে সফল হয়েছে শর্ত
পূরণ না করলে লোন প্রত্যাখ্যান হতে পারে। পিকেবি এই লোনের মাধ্যমে মাইগ্রেশন
প্রক্রিয়া সহজ করে ২০২৫ সালে এর পরিমাণ বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে। এটি প্রবাসীদের
স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করে লোন নেওয়ার আগে শর্তগুলো ভালোভাবে পড়ুন।
রিহ্যাবিলিটেশন লোনের বিস্তারিত তথ্য
রিহ্যাবিলিটেশন লোন ফিরে আসা প্রবাসীদের পুনর্বাসনে সাহায্য করে।প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক কত টাকা লোন দেয় এর পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত যা আগে ৮ লাখ ছিল । এই
লোন ব্যবসা শুরু বা চাকরি খোঁজার জন্য ব্যবহার করা যায়, যোগ্যতাঃ প্রবাস থেকে
ফিরে আসা প্রমাণ দিতে হবে, গ্যারান্টর দরকার। সুদের হার ১১% কিন্তু মহিলাদের
জন্য কম , পরিশোদের সময় ১০ বছর আবেদন প্রক্রিয়া সহজ কিন্তু ডকুমেন্টস যাচাই
করা হয়।
এই লোন প্রবাসীদের নতুন জীবন শুরু করতে সাহায্য করে।উদাহরণঃএকজন ফিরে আসা
শ্রমিক এই লোন নিয়ে দোকান খুলেছে।ঝুঁকি কমাতে গ্যারান্টরের প্রয়োজন পিকেবি এই
লোনের মাধ্যমে ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করে। ২০২৫ সালে বিশেষ স্কিম
যুক্ত হয়েছে এটি প্রবাসীদের মানসিক শান্তি দেয়। লোনের তথ্য আপডেট রাখুন এর
সুবিধা প্রবাসীদের জন্য লোভনীয় অনেকে এতে সফল হয়েছে।
লোনের যোগ্যতা মাপকাঠি বিস্তারিত
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের যোগ্যতা মাপকাঠি সহজ কিন্তু কঠোর ,আবেদনকারী কে
বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স ১৮-৬৫ প্রবাসী বা তাদের পরিবারের সদস্য হওয়া
জরুরী, স্থিতিশীল আয়ের প্রমাণ ,ভালো ক্রেডিট হিস্ট্রি দরকার।মাইগ্রেশন লোনের
জন্য ওয়ার্ক পারমিট দেখাতে হবে রিহ্যাবিলিটেশনের জন্য ফিরে আসার প্রমাণ।
গ্যারান্টর ১-২ জন দিতে হয় মহিলাদের জন্য বিশেষ ছাড়। এই মাপকাঠি লোনের
দুর্ব্যবহার বোধ করে। উদাহরণস্বরূপঃ একজন প্রবাসী যোগ্যতা পূরণ করে সহজে লোন
পেয়েছে।যোগ্য না হলে আবেদন প্রত্যাখ্যান হয় পিকেবি যোগ্যতা চেক করে স্বচ্ছতা
নিশ্চিত করে। ২০২৫ সালে যোগ্যতা আরও সহজ করা হয়েছে এটি প্রবাসীদের উৎসাহিত করে
যোগ্যতা জেনে আবেদন করুন এতে সময় বাঁচবে।
সুদের হার এবং পরিশোধ মেয়াদ
পিকেবির লোনের সুদের হার প্রতিযোগিতামূলক ৪% থেকে ১১% মাইগ্রেশন লোন ৯%
রিহ্যাবিলিটেশন ১১%। মহিলাদের জন্য কম পরিশোধের মেয়াদ ২ থেকে ১০ বছর এটি মাসিক
কিস্তিতে করা যায়, সুদ কম হওয়ার লোন লোভনীয়। উদাহরণঃ৪% সুদে লোন নেওয়া সহজ
দেরি করলে পেনাল্টি, পিকেবি সুদ কমিয়ে প্রবাসীদের সাহায্য করে। ২০২৫ সালে সুদ
৮% করা হয়েছে কিছু লোনে, এটি অর্থনৈতিক চাপ কমায় পরিশোধ পরিকল্পনা করে নিন
এতে ডিফল্ট এড়ানো যায়।
সুদের হিসাব জেনে লোন নিন এই সুবিধা প্রবাসীদের জন্য আকর্ষণীয় অনেকে এতে
উপকৃত।নিম্ন সুদের হারঃ অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক অত্যন্ত কম সুদে লোন প্রদান করে থাকে। এতে করে যারা বিদেশে যাওয়ার জন্য
টাকা সংগ্রহ করতে চান তারা বাড়তি সুদের চিন্তা ছাড়াই ঋণ নিতে পারেন এ কারণে
এটি অনেকের কাছে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী সমাধান।
লোন আবেদনের প্রক্রিয়া বিস্তারিত
লোন আবেদন প্রক্রিয়াসহঃ নিকোটি স্থল নিকটস্থল শাখায় যান বা ওয়েবসাইটের ফরম
পূরণ করুন ডকুমেন্টস জমা দিন যাচাই হলেন লোন অনুমোদন সময় লাগে ১৪ দিন থেকে
কয়েক মাস অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন উপলব্ধ উদাহরণঃ একজন প্রবাসী অনলাইনে আবেদন করী,
সফল প্রক্রিয়া স্বচ্ছ কিন্তু ডিলে হতে পারে পিকেবি প্রক্রিয়া উন্নত করেছেন।
২০২৫ সালে ডিজিটালাইজড এটি প্রবাসীদের সুবিধা দেয় আবেদনের আগে ডকুমেন্টস
প্রস্তুত করুন।
এতে দ্রুত অনুমোদন প্রক্রিয়া জেনে আবেদন করুন এ নির্দেশিকা সাহায্য
করবে।ট্রেনিং ও দক্ষতা উন্নয়নের সহায়তাঃ শুধু লোন প্রদানই নয় প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ও সহায়তা করে। যারা বিদেশে ভালো চাকরি করতে চান
তাদের জন্য সরকারি অনুমোদিত ট্রেনিং কোর্সের খরচ ও এই ব্যাংক বহন করতে
সাহায্য করে। এতে করে প্রবাসীরা বিদেশে গিয়ে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়ার সুযোগ
পান।
প্রয়োজনীয় দলিলপত্রের সম্পূর্ণ তালিকা
লোনের জন্য দলিল পত্রঃ জাতীয় আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, আয়ের প্রমাণ, ব্যাংক
স্টেটমেন্ট, মাইগ্রেশনের জন্য ওয়ার্ক পারমিট।রিহ্যাবিলিটেশনের জন্য ফিরে আসার
প্রমাণ ,গ্যারান্টরের ডকুমেন্টস, ফটো দুইটি এ তালিকা লোন অনুমোদনে সাহায্য করে
।উদাহরণঃ সম্পূর্ণ ডকুমেন্টস দিয়ে লোন পাওয়া সহজ অসম্পূর্ণ হলে প্রত্যাখ্যান।
পিকেবি ডকুমেন্টস চেক করে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২০২৫ সালে অনলাইন আপলোড এটি
প্রবাসীদের সময় বাঁচায়, তালিকা জেনে প্রস্তুত হন এতে আবেদন সফল হবে দলিলপত্র
সঠিক রাখুন।
লোন পাওয়ার সুবিধা এবং উপকার
পিকেবির লোনের সুবিধা অনেকঃ কম সুদ,দীর্ঘ মেয়াদ,কোল্যাটারাল -ফ্রি প্রবাসীরা
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পান। উদাহরণঃ লোন নিয়ে ব্যবসা করে সফল, সামাজিক নিরাপত্তা
যুক্ত এটি রেমিট্যান্স বাড়ায়। পিকে বি লোন প্রবাসীদের জীবন উন্নত করে ২০২৫
সালে নতুন সুবিধা এটি লোভনীয় উপকার চাপ কমে,স্বপ্ন পূরণ,লোন নেওয়া উচিত এতে
দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয় সুবিধা জেনে আবেদন করুন। বিশেষ লোন স্কিম
প্রবাসীদের জন্য ২০২৫ সালে পিকেবি বিশেষ লোন চালু করেছে।কোল্যাটারাল -ফ্রি
।পরিমাণ ৫ লাখ পর্যন্ত যোগ্যতাঃ প্রবাসী হওয়া সু ৮% দ এটি জরুরী চাহিদা
মেটায়।
উদাহরণঃ একজন প্রবাসী এই লোন নিয়ে বাড়ি মেরামত করেছে স্কিম প্রবাসীদের আকর্ষণ
করে পিকেবি এতে সহায়তা বাড়িয়েছেন বিশেষণ লোভনীয় আবেদন করুন।সহজ শর্তে লোন
সুবিধাঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক সহজ শর্তে ঋণ
দিয়ে থাকে। সাধারণত বিদেশে যাওয়ার জন্য যে ব্যাংক লোন পাওয়া যায় সেখানে
অনেক জটিল নিয়ম থাকে, কিন্তু প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে কম কাগজপত্র এবং কম সময়ে
লোন পাওয়া সম্ভব এতে অভিবাসন প্রক্রিয়ার দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।
বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ঋণ
যারা বৈধ উপায়ে বিদেশে চাকরির সুযোগ পেয়েছেন তারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত
টাকা লোন দেয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা
পর্যন্ত লোন পেতে পারেন। এই টাকা ভিসা প্রসেসিং মেডিকেল পরীক্ষা ট্রেনিং ফ্রি
এবং বিমান ভাড়া জন্য ব্যবহার করা যায়। এই লোন গ্রহণের জন্য বড় কোন জামানত
প্রয়োজন হয় না আবেদনকারীর চাকরির অফার লেটার পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র থাকলেই ব্যাংক তাদের সহায়তা করে ।
এই ঋণ পাওয়ার কারণে হাজারো শ্রমিক দালালের খপ্পর থেকে মুক্ত থেকে নিরাপদে
বিদেশ যেতে সক্ষম হন।জরুরী সময়ে আর্থিক সহায়তাঃ বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা
হঠাৎ কোনো বিপদে পড়লে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের পরিবারকে সহায়তা
করা হয় যেমন- অসুস্থতা, মৃত্যুজনিত খরচ ,অথবা দেশে টাকা পাঠানোর
ক্ষেত্রে ব্যাংকটি সহজ সেবা প্রদান করে থাকে।
উপসংহার
লোন সুবিধা সামগ্রিক প্রভাব সব মিলিয়ে বলা যায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দেশের
প্রবাসীদের জন্য এক নির্ভরযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বিদেশ যেতে আগ্রহী
শ্রমিকদের জন্য সহজ লোন দেশে ফেরত উদ্যোক্তাদের জন্য পুনর্বাসন ঋণ এবং পরিবারের
আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এটি অসংখ্য মানুষকে স্বাবলম্বী করেছে।
সুদের হার কম প্রক্রিয়া সহজ এবং কিস্তি নমনীয় হওয়ার এটি অন্য ব্যাংক থেকে
আলাদা।
প্রবাসীরা যদি সঠিক তথ্য নিয়ে এগিয়ে আসেন তবে এই ব্যাংকের সহায়তার তারা
নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবেন।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন সুবিধা
বিদেশগামীদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। সহজ শর্ত ,কম সুদ, দ্রুত সেবা
এবং বিভিন্ন কল্যাণমূলক সুবিধার কারণে এটি হাজারো মানুষের স্বপ্ন পূরণের সহায়ক
হয়েছে। বিদেশে চাকরি করতে চাইলে এবং আর্থিক সংকটে পড়লে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
হতে পারে আপনার সেরা সহায়ক।
আপনার মূল্যবান মতামত এখানে টাইপ করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url